হোয়াইট টি : হোয়াইট টির উপকার এই টি-প্লান্টার বলেন, ‘হোয়াইট-টি’ মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে যা তারুণ্য বজায় রাখে এবং ক্লান্তি দূর করে মনকে ঝরঝরে করে তোলে। আরও একটি বিশেষ গুণ হলো এই চা ফ্যাট বা চর্বি কমায়। তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর বাজারমূল্য খুব বেশি। পাতা চয়নের পদ্ধতি: এ চায়ের পাতা উত্তোলনে নেওয়া হয় কঠিন মান নিয়ন্ত্রণ। পাতায় কোনো পানি থাকতে পারবে না। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে পাতা চয়নের কাজ শেষ করতে হবে। পাতা উত্তোলনের সময় হলো সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ। হোয়াইট টি তৈরি প্রক্রিয়া :হোয়াইট-টি তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় চা গাছের একটি বন্ধকুঁড়ি। অর্থাৎ যে কুঁড়ি এখনও প্রস্ফুটিত হয়নি। সেই বন্ধ কুঁড়িগুলোকে একটি একটি করে চা গাছ থেকে তুলে প্রক্রিয়াকরণের পরই এই বিশেষ চা তৈরি করা হয়। এই চায়ের রঙ পিত-হলুদ বা পিতলের মতো হলুদ। এর মূল রঙটা সবুজ ও হলুদ রঙের মাঝামাঝি। একে হোয়াইট-টি বলার কারণ হলো এর গায়ে সাদা লোম রয়েছে। একে কেউ কেউ বলেন ‘সিলভার নিডল হোয়াইট-টি’ বা রূপাডর সুঁইয়ের মতো সাদা চা। হোয়াইট-টি’ বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে এই চা গবেষক আরও বলেন, এক কাপ পরিমাণ পানি কেতলিতে নিয়ে গরম করতে হবে। গরম পানিতে প্রথম বুদবুদ উঠার সঙ্গে সঙ্গে সেই পানি একটি কাপে ঢালতে হবে। তারপর এর মধ্যে ২ দশমিক ৩ গ্রাম বা এক টেবিল চামচ পরিমাণ হোয়াইট-টি দিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট পর ছাঁকলেই তৈরি হয়ে যাবে অত্যন্ত উপকারী হোয়াইট-টি। সাধারণ চা বা ‘ব্ল্যাক-টি’ এর চেয়ে ‘গ্রিন-টি’র মধ্যে চারগুণ মানবদেহের উপকারী ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ থাকে। আর ‘হোয়াইট-টি’তে ‘গ্রিন-টি’র চেয়েও তিনগুণ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বলে জানান চা বিশেষজ্ঞ হক ইবাদুল।